Responsive Ad Slot

রূপচর্চা -সাজগোজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রূপচর্চা -সাজগোজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সৌন্দর্যচর্চায় নারকেল তেলের চমকপ্রদ গুনাবলি।

কোন মন্তব্য নেই

মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯




সৌন্দর্যচর্চায় নারকেল তেলের চমকপ্রদ গুনাবলি।

সৌন্দর্যচর্চায় নারকেল তেল প্রাচীন কাল হতেই ব্যবহার হয়ে আসছে। নারকেল তেল দিয়ে নিয়মিত মাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করে। এছাড়া চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। নারকেল তেল ত্বককে আর্দ্র রাখে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য নারকেল তেল বেশ উপকারী।


মেকআপ রিমুভার: প্রায় সকল নারীই তাদের মেকআপ তোলা নিয়ে অনেক যন্ত্রণায় থাকেন। মেকআপ রিমুভারে যে স্পিরিট ব্যবহার করা হয়, তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এর বিকল্প হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়। এক টুকরো তুলায় হালকা করে তেল লাগিয়ে মুখে ঘোষলে দ্রুতই মেকআপ উঠে যাবে।
টুতপেস্ট: নারকেল তেলের সাথে একচিমটি বেকিং পাওডার মিশিয়ে দাঁত মাজলে আপনার দাঁত হবে ঝক ঝকে সাদা। আপনি দিতে পারবেন প্রাঞ্জল হাসি।
শ্বাস বিশুদ্ধিকারক: নারকেল তেল anti fungal এবং antibacterial বৈশিষ্ট্য আছে। এক চামচ তেল নিয়ে কুলকুচি করলে শ্বাস বিশুদ্ধ হবে ও মুখের জীবাণু পরিষ্কার হবে। এছাড়াও মাড়ি স্বস্থ্যকর হবে ও দাঁত সাদা হবে।
বডি লোশন: বডি ময়েশ্চারাইজার লোশন হিসেবে নারিকেল তেল অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে শীতে কালে যখন ত্বক শুষ্ক থাকে তখন গোসলের পর সামান্য নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিন পুরো শরীরে। ত্বক থাকবে কোমল আর মসৃণ।
ম্যাসাজ অয়েল: ম্যাসাজ অয়েল হিসেবেও নারিকেল তেল অসাধারণ। পুরো শরীরকে শিথিল করতে এবং রক্তচলাচল বৃদ্ধি করার জন্য নারিকেল তেল দিয়ে শরীরটাকে ম্যাসাজ করিয়ে শরীর হয়ে উঠবে ঝরঝরা এবং ক্লান্তিহীন।
কন্ডিশনার: নারকেল তেল খুব সহজে ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে বলে এটি ভালো কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। চুলের যত্নে নানা ধরনের কন্ডিশনার বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক এ কন্ডিশনার চুলের জন্য অনেক উপকারী। চুল পড়া রোধ, খুশকি দূর করাসহ চুলের নানা সমস্যা দূর হয় এ তেলে।
লিপ বাম: ঠোঁটের পরিচর্যায়ও নারকেল তেলের ব্যবহার অনন্য। অল্প পরিমাণ নারিকেল তেল একটি ছোট কৌটায় করে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডায় নারিকেল তেল জমে গেলে, ঠোঁটের শুষ্কতা অনুভূত হলেই নারিকেল তেল লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট থাকবে সুন্দর ও মোলায়েম।
বডি স্ক্রাব: নারকেল তেল ত্বককে আর্দ্র রাখে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য নারকেল তেল বেশ উপকারী। কয়েক ফোঁটা তেল হাতের তালুতে নিয়ে তা পুরো শরীরে মাখালে ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাবে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে। ময়লা দূর করতে স্ক্রাব হিসেবে এ তেল বেশ উপকারী। তাই মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য নারকেল তেল বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
খুসকি রোধে: নারিকেল তেলের আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ফলে খুসকির উপদ্রব থেকে বাঁচতে চাইলেই নারিকেল তেলের ব্যবহার অনন্য। নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করে ঘন্টা খানেক রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে মাথার ত্বকের খুসকি দূর হয়ে যাবে।
পা ফাটা রোধে: যাদের পা ফেটে যাওয়ার সমস্যা আছে তারা প্রথমে হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পায়ের গোড়ালিতে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর একটি মোজা পরে রাতে ঘুমিয়ে যান। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটার সমস্যা পুরোপুরি চলে যাবে।
নাইট ক্রিম: সর্বাধিক ময়শ্চারাইজিং বেনিফিটের জন্য রাতে নারিকেল তেল ব্যাবহার করুন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের আপনার শরীরের ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর করবে।
এর অনেক গুণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নারকেল তেল আপনার বুড়িয়ে যাওয়ার গতিকে কমিয়ে দেয়। এটি শরীরের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। নারকেল তেলের এন্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের সমস্যাও দূর করে। নারকেল তেল শুধু ত্বকের সজীবতাই ধরে রাখে না, এটি ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায়ও অত্যন্ত কার্যকর। এ তেল হৃদরোগের জন্যও যথেষ্ট উপকারী। নারকেল তেল কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
 সূত্র: আলিউরি

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়।

কোন মন্তব্য নেই


চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়।

রাতে ঘুম না হলেই বিপদ। চোখের নিচে পুরু কালো দাগ। অনেকের আবার ঘুম হলেও এই কালো দাগ দূর হয় না চোখ থেকে৷ পরিপাটি সাজের বারোটা বাজিয়ে দেয় এই চোখের কালো দাগ৷ সবাই জিজ্ঞাসা করে ‘সারারাত ঘুম হয়নি?’ লজ্জায় পড়েন আপনিও৷ তবে এই লজ্জার দিন শেষ। জেনে নিন, আপনার চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
১. কদম ফুলের পাপড়ি বেটে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের নিচের কালো দাগ অনেকটাই দূর হবে। এটি না পেলে পুদিনাপাতা বা নিমপাতাও ব্যবহার করতে পারেন।
২. দুই চা চামচ ফ্রিজে রাখুন এবং চামচ দু’টি ঠাণ্ডা হবার জন্য অপেক্ষা করুন। চামচ ঠাণ্ডা হলে, বালিশে শুয়ে চোখের উপর চামচ দু’টি রাখুন। এটির দুটি সুফল আছে। এটি চোখের ক্লান্তি দূর করে এবং চোখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
৩. দু’টি কটন বল শসার রসে ডুবিয়ে চোখের ওপর পনেরো মিনিট রাখুন।
৪. ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের ওপর রাখলে ভালো ফল পাবেন। গ্রিন টি-এর ব্যাগ রাখলে কাজ দ্রুত হবে।
৫. খোসাসহ আলু বেঁটে চোখের নিচে লাগাতে হবে। তিন চার দিন এই পেস্টটি ব্যবহার করুন। কালো দাগ দূর হবে।
৬. কাজু বাদাম বেটে দুধের সঙ্গে গুলিয়ে, পেস্ট করে চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন।
৭. চোখের চারপাশে বাদাম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলেও দ্রুত উপকার পাবেন। 
সূত্র: ইন্টারনেট

শীতে ঠোঁট ফাটা রোধের উপায় জেনে নিন

কোন মন্তব্য নেই

শীতে ঠোঁট ফাটা রোধের উপায় জেনে নিন

কুয়াশার চাঁদর গায়ে জড়িয়ে প্রকৃতিতে এসেছে শীতকাল। ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়ার আনন্দে মেতে উঠতে না উঠতেই দুশ্চিন্তায় হয় ত্বক নিয়ে। শুষ্কতার থাবায় নিষ্প্রাণ ঠোঁট- আর ফাটা বিপর্যস্ত ঠোঁট নিয়ে বিব্রত হতে হয়। তাই নামী দামী পণ্যের দ্বারস্থ হতে হয় শীতের শুরু থেকেই। তবে হাতের নাগালেই রয়েছে ঠােঁট ফাটা রোধে কিছু ঘরোয়া সমাধান।
মূলত, শরীরের ডিহাইড্রেশনের ফলে ঠোঁট ফাটে।


এ সময় এমনিতেই পানি কম খাওয়ার প্রবণতা থাকে। তাই বেশি করে পানি খেলে ঠোঁট ফাটা কমতে পারে। এছাড়া ঠোঁট পরিষ্কার রাখাটাও খুব জরুরি। জেনে নিন কিছু ঘরোয়া সমাধান যাতে শুষ্ক শীতেও ঠোঁট থাকবে নরম, সুন্দর ও কমনীয়।

# প্রথমেই দেহের ভেতর থেকে ঠোঁটের পুষ্টি জোগাতে হবে। দেহের ত্বকের মতো ঠোঁটেরও হাইড্রেশন দরকার। অর্থাৎ দেহে যথেষ্ট পানি থাকতে হবে। তাই শীতের অলসতায় পানি খাওয়া কমিয়ে দেবেন না। বেশি পরিমাণ পানি, ফল ও সবজি খেতে থাকুন। এতে ঠোঁট এমনিতেই ময়েশ্চারসমৃদ্ধ থাকবে।

# মধু ও লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এই বিশেষ প্যাকটি ঠোঁটের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া লিপবাম মোটা করে ঠোঁটে লাগিয়ে তুলো দিয়ে আলতো করে মরা কোষ তুলে ফেলুন, পাবেন কমনীয় সুন্দর ঠোঁট।

# পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার নতুন কিছু নয়। এটি ঠোঁটের কোমলতা ও গোলাপি রং ধরে রাখে। তাই নিয়মিত ব্যবহার করুন। তবে ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন।

# বাইরে বেরোনোর আগে ঠোঁট জোড়াকে এসপিএফ ফর্মুলায় রক্ষা করুন। ঠোঁটও কিন্তু ত্বকের মতোই। শীতের শুষ্ক মৌসুমে ঠোঁটও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এসপিএফ ব্যবহারে ভেজা ভাব হারায় না ঠোঁট। শেয়া বাটার বেছে নিতে পারেন, এতে এসপিএফ উপাদান রয়েছে। ঠোঁটে তাৎক্ষণিক পুষ্টির জন্য শেয়া বাটার অনন্য উপাদান।

# ঠোঁট ফেটে রোধে দারুণ কাজ দেয় গ্লিসারিন। এটি ত্বক ফাটার কাজেও বহুল ব্যবহৃত উপকরণ। চোখ ও ঠোঁটের চারদিকে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিতে পারেন।

# যদি ঠোঁট ফেটে যায়, তবে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার থেকে সাবধান হয়ে যান। পরিবর্তে আরো ক্রিমপূর্ণ এবং পিচ্ছিল লিপস্টিক লাগাতে হবে। এতে ঠোঁটে শীতের চেহারা থাকবে না।

# গোটা শীতে প্রতিদিনই নারকেল তেল লাগাতে পারেন ঠোঁটে। এতে কখনো ফাটা ভাব আসবে না। এতে ঠোঁট ময়েশ্চারাইজার পাবে।

# ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে এমন লিপ বাম ব্যবহার করুন। এটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের দারুণ উৎস। ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভিটামিন ‘ই’-সমৃদ্ধ লিপ বাম বেশ কাজের।

# ফেটে যাওয়া ঠোঁটের যত্নে মধু ও চিনির মিশ্রণ জাদুর মতো কাজ করে। এটা ঠোঁটের যত্নের পুষ্টিকর উপায়। এতে ঠোঁট হবে কোমল ও মসৃণ।

মেকআপ তোলার কিছু ভুল পদ্ধতি।

কোন মন্তব্য নেই


মেকআপ তোলার কিছু ভুল পদ্ধতি

শীতের এই সময়টাকে উৎসবের মৌসুমও বলা যায়। আর এ সময় ঘেমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাই মেকআপে চলে নানা রঙের ব্যবহার। শীতে মনের মতো সাজে তো সাজা যায়ই, কিন্তু সাজ শেষে মেকআপ তোলাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেককেই দেখা যায়, রাতে কোনো অনুষ্ঠান থেকে ফিরে ঠান্ডার ভয়ে মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন এতে করে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়া আমরা প্রায়ই মেকআপ তোলার সময় কিছু ভুল করে থাকি-

# অনেকেই মনে করেন মেকআপ ওয়াইপ ব্যবহার করার পর আর ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার দরকার নেই। কিন্তু আসলে এটি একটি ভুল ধারণা। মেকআপ ওয়াইপ ব্যবহার করার পর অন্য ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিস্কার করতে হবে এবং সবশেষে পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিস্কার করতে হবে।

# অনেকেই মেকআপ তোলার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হিসেবে তেল ব্যবহার করেন৷ শুধু শুষ্ক ও মিশ্র ত্বকের মেকআপ তুলতে তেল ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ তুলতে কখনোই তেল ব্যবহার করবেন না৷ এতে ত্বকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

# তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ তুলতে ওয়াটার বেজ ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন৷ এখন বাজারে অনেক ভালো মানের মেকআপ ক্লিনজার টিস্যু পাওয়া যায়। মেকআপ তুলতে এগুলো বেশ কাজে দেয়৷ এই টিস্যুগুলো মেকআপ তোলার পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে কন্ডিশনিং করে তোলে৷

# পারলার থেকে বেঁধে আসা চুল খোলার জন্য অনেকেই তেল ব্যবহার করেন৷ এতে কিন্তু চুলে দেওয়া ম্যুজ, স্প্রের মতো উপকরণগুলো আরও ঘন হয়ে বসে যায় চুলে৷ এ জন্য চুল খুলতে প্রথমেই কন্ডিশনিং লাগিয়ে নিন৷ ১০ মিনিট রাখার পর চুলে শ্যাম্পু লাগিয়ে তা ভালো করে ধুয়ে নিন৷ শ্যাম্পু শেষে প্রয়োজন মনে করলে আবার চুলে কন্ডিশনিং করতে পারেন৷

# একটি  মেকআপ ওয়াইপ আপনার সব মেকআপ পরিষ্কার করার জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। আলাদা আলাদা মেকআপ ওয়াইপ নিয়ে মুখ, চোখ, ঠোট আলাদাভাবে পরিষ্কার করাই মেকআপ তোলার যথোপযুক্ত পদ্ধতি।

# অনেকেই মনে করেন চোখের মেকআপ পুরোপুরি পরিষ্কার না করলেও চলে। চোখের ত্বক অতি স্পর্শকাতর বিধায় চোখের মেকআপ ভালভাবে তুলে ফেলা উচতি।

# চোখ, মুখ, ঠোট এর মেকআপ তোলার জন্য আলাদা আলাদা রিমুভার রয়েছে। তাই একই রিমুভার দিয়ে সব মেকআপ না তুলে সঠিকভাবে আলাদা আলাদা মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করুন।

# মেকআপ তোলার জন্য কখনোই গরম পানি ব্যবহার করবেন না। গরম পানির ব্যবহার আপনার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলবে বা ত্বকের চামড়া ক্রমান্বয়ে কুচকে ফেলবে।

# যার যার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী পরিষ্কার করা জরুরি। আমরা সবাই জানি তৈলাক্ত ত্বকের আর শুষ্ক  ত্বকের ক্লিনজার কখনোই এক হতে পারেনা। তাই মেকআপ রিমুভার কেনার সময় আপনার ত্বকের ধরণটা মাথাই রেখেই রিমুভার কিনবেন।

# সাধারণত ৫.৫ মাত্রার পিএইচ লেভেলের ক্লিনজার বা মেকাপ রিমুভার ব্যবহার করা উচিত।  অনেকেই রিমুভার বা ক্লিনজার কেনার সময় বিষয়টি ভুলে যান। সঠিক মাত্রার পিএইচ লেভেলে না থাকার কারণে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

# আমাদের মুখের ত্বক অতিশয় স্পর্শকাতর। এজন্য কখনোই মুখের ত্বকের উপর টাওয়েল দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ পরিষ্কার করবেন না। নরম টাওয়েল দিয়ে হালকাভাবে চেপে চেপে মুখের পানি শুকিয়ে নিবেন। আর মুখের জন্য সবসময় আলাদা নরম পরিষ্কার টাওয়েল ব্যবহার করবেন।

মেছতা চিরবিদায় করতে গোলমরিচ।

কোন মন্তব্য নেই



মেছতা চিরবিদায় করতে গোলমরিচ


গোলমরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা চেহারার বয়সের ছাপ দূর করতে কার্যকর। এছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মেছতা দূর করে ত্বক রাখে দাগমুক্ত। শুধু তাই না, ত্বকের মরা কোষ ও দূষিত পদার্থ দূর করতেও প্রাকৃতিক এই উপাদানটি সাহায্য করে।


অন্যদিকে গোলমরিচের প্রদাহবিরোধী উপাদান ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে ত্বককে ব্রণমুক্ত রাখে। কীভাবে ত্বকে গোলমরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করবেন লাইকবিডি পাঠকদের জন্য সে সম্বন্ধে কিছু পরামর্শ দেয়া হলো।


প্রথমে আধা চা চামচ গোলমরিচ নিন। এবার এগুলো শিলপাটায় বেটে ভালো করে গুঁড়ো করে রাখুন। একটি বাটিতে এক চা চামচ টকদই নিন। একটি কাঁটা চামচ দিয়ে টকদই ভালো করে ফেটিয়ে নিন।


এই টকদইয়ের মধ্যে গোলমরিচের গুঁড়ো ও আধা চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে চাইলে এই প্যাকের মধ্যে কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল দিতে পারেন। মুখ পানি দিয়ে ভালো ক
রে ধুয়ে পরিষ্কার করে এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।


মুখে মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভিজিয়ে হালকাভাবে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবার কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।


ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে মুখ ভালো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দুদিন গোলমরিচের এই প্যাক লাগান।

ব্রণের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় ।

কোন মন্তব্য নেই

শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯

ব্রণের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়!




আপনার মুখে কি ব্রণের কালো দাগ রয়েছে।তাহলে আজই ঘরে বসে ব্রণের কালো দাগ দূর করুন খুব সহজে।
ব্রন শুধু বয়ঃসন্ধিকালেই হয় না। তৈলাক্ত ত্বকে যত বেশি গরম লাগে, ত্বক থেকে আরও তেল নিঃসরণ হতে থাকে।

এর ফলে দেখা দেয় ব্রন, অ্যাকনের মতো নানারকম সমস্যা।
ব্রন এমন একটি সমস্যা যার হাত থেকে নিস্তার নেই কারও। ব্রন কমে যাওয়ার পরেও তার দাগ থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না।
চিকিৎসকেরা বলে থাকেন যে, ব্রণ নখ দিয়ে খুঁটলে, তা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। ব্রণ’র থেকে ত্বকে কালো দাগ হয়ে যেতে পারে। এবং সেই দাগ চিরস্থায়ীও হতে পারে কিন্তু এর থেকে কি মুক্তির উপায় নেই।
নিশ্চয়ই আছে। ব্রণ’র কালো দাগের হাত থেকে মুক্তির সহজ ঘরোয়া উপায় রয়েছে। জানেন সেটা কি?

ব্রণ থেকে কালো দাগ ছোপ খুবই বড় একটি সমস্যা। তা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না। কিন্তু ঘরোয়া এমন একটি উপায় রয়েছে, যা ব্যবহার করলে খুব কম সময়েই এবং সহজে ব্রণ’র কালো দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এর জন্য আপনাকে কী করতে হবে? কিছুটা ধনেপাতা ভালো করে বেটে নিন। তারপর সেই ধনেপাতার রসের সঙ্গে অল্প করে গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে, সেই মিশ্রনটা ব্রণ’র উপর লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কয়েকদিন একটানা এটি ব্যবহার করলে নিজেই ফল দেখতে পাবেন।

ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু রিভিউ

কোন মন্তব্য নেই

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯


ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু রিভিউ

ট্রিসেমি এই কিছুদিন আগে বাংলাদেশে নুতন আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু ও কন্ডিশানার বাজারে এনেছে । ট্রিসেমির পণ্য ব্যবহারে আমি ও আগেও অনেক খুশী ছিলাম কারণ, এটির ব্যবহারে আমি ভাল ফলাফল পেয়েছি তাই এবারেও এই ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু টি ব্যবহারের জন্য আমি খুব উদগ্রীব ছিলাম এজন্য যে, এটি কেমন কাজ করে এবং পণ্যটি যা দামি করছে টা সত্য কিনা টা জানার জন্য।



ভাল দিক

 একটি সুন্দর ঘ্রান আছে।ভালোভাবে চুলে লাগানো যায় আর সহজেই পরিষ্কার করে ধোঁয়া যায় ।

 চুল ও মাথার ত্বক খুব ভাল পরিষ্কার করে।

 কোঁকড়া চুল সামলানো সহজ হয়।

 এটি ব্যবহারে চুল পড়বে না।

 চুলকে শাইনি করে তোলে।

 চুলের ড্যামেজ রোধ করে।

 প্যাকেজিংটি আকর্ষণীয়।
খারাপ দিক

 খুব নষ্ট হয়ে যাওয়া চুলে ভাল কাজ করে না ।

 চুল পড়া রোধ করে না।

 খুশকির নিরাময়ে কার্যকরী নয়।

মূল্য -১৯০ মিলি. 315 Tk. 

কোথায় পাবেন :

ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু পণ্যটির কোম্পানি কি দাবি করছে-


এই আবিষ্কারটি চুলের জন্য সেলুনের ট্রিটমেন্টের জন্য মূলত আনা হয় । এটি চুল পুনরুদ্ধারের জন্য এবং চুলে স্টাইল করার জন্য এবং দুর্বল ও নষ্ট হয়ে যাওয়া চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। অত্যাধুনিক আয়োনিক কমপ্লেক্স ফর্মুলা মূলত যাদের চুল খুব স্টাইলিং টুলস ব্যবহারে ও ঘন ঘন ব্রাশ করার ফলে নষ্ট হয় তাদের চুলে একটি সুরক্ষা বলয় তৈরি করবে ।


এটা চুলে প্রাকৃতিক শক্তি ফিরিয়ে আনবে এবং এটা এতোই কোমল যে প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে। ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পুটি চুলকে সুন্দর আর শক্ত করে তুলবে এবং একই সাথে নরম করে যাতে চুল সামলানো সহজ হ্য়ে যায় । এটা চুলকে এমনভাবে সামলায় যেন মনে হবে আপনি এই মাত্র সেলুন থেকে চুল ট্রিট করে বের হলেন ।

শ্যাম্পুর উপাদান এবং কন্ডিসানারের উপাদান-

প্যাকেজিং-

এর প্যাকেজিংটি ট্রিসেমির অন্য শ্যাম্পু মতো কিন্তু রঙটি ভিন্ন । এটি একটি কালো বোতলে কিন্তু ক্যাপটি ভায়োলেট রঙের । আয়োনিক স্ট্রেন্থ এই কথাটি বেগুনি রঙের মেটাল দিয়ে লেখা যা এই সম্মুখ ভাগকে একটি অন্য রকমভাবে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।

এটাকে মসৃণ আর শক্ত লাগে দেখতে । বোতটিতে রয়েছে ভায়োলেট রঙের ফ্লিপ ক্যাপ শ্যাম্পু বের করার জন্য। এটা বিভিন্ন সাইজে পাওয়া যাবে।

সুঘ্রান-
শ্যাম্পুটির রয়েছে তাজা ফলের ঘ্রান যা আমি খুব উপভোগ করি আর আমার চুলেও এই সুগন্ধ অনেকক্ষণ থাকে ব্যবহারের পর।
রঙ ও ঘনত্ব –

শ্যাম্পুটির রঙ মুক্তোর মতো সাদা , গ্লোসি আর এটি খুব ঘন নয় কিন্তু আবার খুব পাতলও নয়। আপনার চুলের ঘনত্ব আর কত টুকু লম্বা তার উপর নির্ভর করে কতখানি শ্যাম্পু লাগবে চুল পরিষ্কার করতে।
আমার অভিজ্ঞতা -ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু

ট্রিসেমি পণ্য তাদের উপযোগিতার মাধ্যমে সবার মন জয় করেছে। ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু, খুব ভাল ভাবে মিশে যায় এবং চুল, মাথার ত্বক -ত্বকের তেল , ময়লা খুব ভাল ভাবে পরিস্কার করে কিন্তু মাথার ত্বককে শুষ্ক করে তোলে না । আমার চুল এটি ব্যবহারে অবিশ্বাস্য রকম নরম আর পুষ্টিকর লাগছে ।

চুলে তেল দেওয়া থাকলে আমাকে এটি দুইবার ব্যবহার করতে হয় চুলের তেল পরিষ্কার করে তোলার জন্য। এই শ্যাম্পুর সাহায্যে আমি আমার চুল সহজেই পরিষ্কার করতে পারি আমার চুল হয়ে ওঠে পরিষ্কার, নরম আর ফুরফুরে। আর আমার কোঁকড়া চুল সামলানোও অনেক সহজ হয়ে ওঠে ।




যদিও আমার চুল খুব বেশি নষ্ট হয়ে যাওয়া চুল নয় তবে আমি চুলে স্টাইলিং টুল ব্যবহার করি যার ফলে আমার চুল একটু শুষ্ক ও নিস্প্রান লাগে। এই শ্যাম্পুর আয়োনিক স্ট্রেন্থ চুল কে যেকোনো ড্যামেজ থেকে চুলকে সুরক্ষা করে । আমি প্রথমবার ব্যবহারের পর থেকেই তা দেখছি আর এই ফলাফল ধরে রাখার জন্য এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে যাতে নষ্ট হয়ে যাওয়া চুল পুনরুদ্ধার করা যায় আর চুল শক্তিশালি হয়ে ওঠে ।

এটি যেভাবে চুলে পুষ্টি যোগায় আর চুলকে সাইনি করে তোলে টা আমি পছন্দ করি। ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু, ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করে না তবে এটি ব্যবহারে আপনার চুল পড়া বাড়বেও না । এটি আমার চুলে প্রান ফিরিয়ে এনেছে।

এটি চুলে অনেক ফেনা তৈরি করে । চুল ও মাথার ত্বক খুব পরিষ্কার করে। এটি চুলের ও মাথার ত্বকের আদ্রতা ফিরিনে আনে যেভাবে পণ্যটি দাবি করেছে। আমার চুল খুব শুষ্ক নয় আবার চুলে আমি রাসয়নিক ট্রিটমেন্টও করাই না তাই আমি খুব বেশ তফাৎ বুজতে পারছি না।

কিন্তু এটি সত্যিকার অর্থেই আমার চুল নরম আর মসৃণ করে তুলেছে । আমার চুল যেহেতু শুষ্ক নয় তাই এটি আমার চুলকে খুব ফুলিয়ে তোলে না ।

এর কন্ডিসানারটি ও চুলে আদ্রতা যোগায় আর সহজেই আঙ্গুলের সাহায্যে চুলে লাগানো যায় । আমি রিচ কন্ডিসানার পছন্দ করি আর এটিকেও আমার খুব ভাল লেগেছে ।

ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু অন্যান্য শ্যাম্পু আর কন্ডিসানার এর তুলনায় একটু বেশী দামি কিন্তু দামের পার্থক্য খুব বেশী নয় । এটি ভিন্ন ভিন্ন আকারে পাওয়া যায় আর ছোটটি ভ্রমনেও সঙ্গে রাখা যায় ।

শেষ কথা-ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু
ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু টি চুলকে শক্তিশালি করে তোলার জন্য চমৎকার তবে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। পণ্যটি যা যা দাবি করছে টা অধিকাংশই সত্য। আমার চুলে এটি খুব ভাল কাজ করেছে আর আমি অন্যকেও বলব এটি ব্যবহারের জন্য ।

পরিশেষে আমি এটা বলব যে আপনি যদি প্রচুর পরিমানে হিট , কালার ব্যবহার করেন আর আপনার চুল যদি শুষ্ক ও ড্যামেজ হয় তবে এটি আমার চুলের জন্য খুব ভাল যা চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনবে।

হ্যাঁ আমি ইতিমধ্যে এই শ্যাম্পুটি ব্যবহার করেছি । আপনি ট্রিসেমি শ্যাম্পু নিয়ে আমাদের আগের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন এখানেই । তবে এই শ্যাম্পু কেনা সবসময় উপকারী আর সৌন্দর্য পিপাসুদের আমি বলব চুলের সাইনি ভাব বাড়ানোর জন্য আপনি নিঃসন্দেহে এই ট্রিসেমি আয়োনিক স্ট্রেদেনিং শ্যাম্পু ব্যবহার করেত পারেন।
Don't Miss
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
made with by SaHaLoM Pro