মেকআপ রিমুভার: প্রায় সকল নারীই তাদের মেকআপ তোলা নিয়ে অনেক যন্ত্রণায় থাকেন। মেকআপ রিমুভারে যে স্পিরিট ব্যবহার করা হয়, তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এর বিকল্প হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়। এক টুকরো তুলায় হালকা করে তেল লাগিয়ে মুখে ঘোষলে দ্রুতই মেকআপ উঠে যাবে।
টুতপেস্ট: নারকেল তেলের সাথে একচিমটি বেকিং পাওডার মিশিয়ে দাঁত মাজলে আপনার দাঁত হবে ঝক ঝকে সাদা। আপনি দিতে পারবেন প্রাঞ্জল হাসি।
শ্বাস বিশুদ্ধিকারক: নারকেল তেল anti fungal এবং antibacterial বৈশিষ্ট্য আছে। এক চামচ তেল নিয়ে কুলকুচি করলে শ্বাস বিশুদ্ধ হবে ও মুখের জীবাণু পরিষ্কার হবে। এছাড়াও মাড়ি স্বস্থ্যকর হবে ও দাঁত সাদা হবে।
বডি লোশন: বডি ময়েশ্চারাইজার লোশন হিসেবে নারিকেল তেল অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে শীতে কালে যখন ত্বক শুষ্ক থাকে তখন গোসলের পর সামান্য নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিন পুরো শরীরে। ত্বক থাকবে কোমল আর মসৃণ।
ম্যাসাজ অয়েল: ম্যাসাজ অয়েল হিসেবেও নারিকেল তেল অসাধারণ। পুরো শরীরকে শিথিল করতে এবং রক্তচলাচল বৃদ্ধি করার জন্য নারিকেল তেল দিয়ে শরীরটাকে ম্যাসাজ করিয়ে শরীর হয়ে উঠবে ঝরঝরা এবং ক্লান্তিহীন।
কন্ডিশনার: নারকেল তেল খুব সহজে ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে বলে এটি ভালো কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। চুলের যত্নে নানা ধরনের কন্ডিশনার বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক এ কন্ডিশনার চুলের জন্য অনেক উপকারী। চুল পড়া রোধ, খুশকি দূর করাসহ চুলের নানা সমস্যা দূর হয় এ তেলে।
লিপ বাম: ঠোঁটের পরিচর্যায়ও নারকেল তেলের ব্যবহার অনন্য। অল্প পরিমাণ নারিকেল তেল একটি ছোট কৌটায় করে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডায় নারিকেল তেল জমে গেলে, ঠোঁটের শুষ্কতা অনুভূত হলেই নারিকেল তেল লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট থাকবে সুন্দর ও মোলায়েম।
বডি স্ক্রাব: নারকেল তেল ত্বককে আর্দ্র রাখে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য নারকেল তেল বেশ উপকারী। কয়েক ফোঁটা তেল হাতের তালুতে নিয়ে তা পুরো শরীরে মাখালে ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাবে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে। ময়লা দূর করতে স্ক্রাব হিসেবে এ তেল বেশ উপকারী। তাই মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য নারকেল তেল বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
খুসকি রোধে: নারিকেল তেলের আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ফলে খুসকির উপদ্রব থেকে বাঁচতে চাইলেই নারিকেল তেলের ব্যবহার অনন্য। নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করে ঘন্টা খানেক রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে মাথার ত্বকের খুসকি দূর হয়ে যাবে।
পা ফাটা রোধে: যাদের পা ফেটে যাওয়ার সমস্যা আছে তারা প্রথমে হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পায়ের গোড়ালিতে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর একটি মোজা পরে রাতে ঘুমিয়ে যান। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটার সমস্যা পুরোপুরি চলে যাবে।
নাইট ক্রিম: সর্বাধিক ময়শ্চারাইজিং বেনিফিটের জন্য রাতে নারিকেল তেল ব্যাবহার করুন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের আপনার শরীরের ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর করবে।
এর অনেক গুণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নারকেল তেল আপনার বুড়িয়ে যাওয়ার গতিকে কমিয়ে দেয়। এটি শরীরের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। নারকেল তেলের এন্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের সমস্যাও দূর করে। নারকেল তেল শুধু ত্বকের সজীবতাই ধরে রাখে না, এটি ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায়ও অত্যন্ত কার্যকর। এ তেল হৃদরোগের জন্যও যথেষ্ট উপকারী। নারকেল তেল কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
সূত্র: আলিউরি
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন